দৈনিক ডেস্ক:-দিল্লির নিহাল বিহারের একটি ফ্ল্যাটে এক মহিলা সহ তার দুই সন্তানের দেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, খুব বাজে রকম ভাবে দেহ গুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে, কারন উদ্ধার দেহ গুলো থ্যাঁতলানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তবে মৃত মহিলার স্বামীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাই পুলিশ মনে করছে খুনের পিছনে তার স্বামীর হাত রয়েছে এবং খুন করে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের এমনটাই ধারনা।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম প্রীতি যার বয়স ২৯ বছর এবং তার দুই সন্তান যাদের বয়স ৫ ও ৯, দেহ উদ্ধারের পর দেহগুলোকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছেন, হাতুড়ি দিয়ে থেতলে মারা হয়েছে সকলকে। এছাড়াও প্রীতির পেতে একাধিক ছুরির আঘাত লক্ষ্য করে পুলিশ, এমনকি ৯ বছরের ছেলেটিকে হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে এমনকি বাদ যায়নি ৫ বছরের খুদে প্রানও।
ঘটনায় প্রীতির পরিবারের লোকজনেরা জানায়, মাসখানেক আগেই তারা দিল্লির নিহালে এই নতুন ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতে আসে।প্রীতির পরিবারের অভিযোগ, প্রীতির স্বামী গগন প্রতিনিয়তই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত এবং তারপরেই প্রীতির সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পরতো গগন, এমনকি প্রীতিকে মারতো বলেও অভিযোগ করে প্রীতির বাড়ির লোকেরা।
এইদিন প্রীতির বাড়ি থেকে বারবার ফোন করা হলে ফোনে প্রীতিকে না পেয়ে খানিকটা চিন্তিত হন তার বাবা, এর পরেই রীতিমতো মেয়েকে দেখতে সেই ফ্ল্যাটে ছুটে আসে তার বাবা, দরজা খুলে মেয়ে ও নাতীদের মৃত রক্তাত্ব অবস্থায় দেখে সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেন তিনি। এরপরেই পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সেখান থেকে একটি হাতুড়ি খুঁজে পায়, আর এই হাতুড়ি দ্বারাই খুন এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রীতির বাড়ির লোকেরা তার জামাই গগনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে এই মৃত্যুর পিছনে গগনেরই হাত রয়েছে। এর পরেই গগনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তার তল্লাশি শুরু করছে পুলিশ।