তাইওয়ান আক্রমনের প্রস্তুতি চিনের! নাগরিকদের দীর্ঘকালীন খাদ্য জমা করার সরকারি নির্দেশিকা । তার সাথেই বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাও
আমেরিকা সব ভাবে তাইওওানের পাশে আছে প্রথম থেকেই অবস্থান স্পষ্ট করেছে । তাই তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের যুদ্ধ ছিন-আমেরিকা যুদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল ।

মাওয়ের ‘লং মার্চ’-এর পর তাইওয়ানে আশ্রয় নেয় বিধ্বস্ত কুওমিনটাং তথা চিনা জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থকরা। তারপর থেকেই চিয়াং কাই শেখের নেতৃত্বে নিজেকে গড়ে তোলে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর আজও তা দখল করতে মরিয়া লালচিন।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে তাইওয়ানের বন্দর ও এয়ারপোর্টগুলিকে ঘেরাও করতে পারে লালফৌজ বলে আশঙ্কা।
তবে আমেরিকা সব ভাবে তাইওওানের পাশে আছে প্রথম থেকেই অবস্থান স্পষ্ট করেছে । তাই তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের যুদ্ধ ছিন-আমেরিকা যুদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল ।
ক্রমবর্ধমান চিনা হামলার সম্ভাবনা নিয়ে এক বিবৃতি জারি করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রটির বন্দর ও এয়ারপোর্টগুলিকে ঘেরাও করতে সক্ষম লালফৌজ। এমনটা হলে চরম বিপদে পড়বে দেশটি। কারণ সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেলে রসদ, হাতিয়ার ও ওষুধ আমদানি করতে পারবে না তাইওয়ান। শেষমেশ আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনও পথ থাকবে না তাদের কাছে। তবে পড়শি দেশটির আস্ফালনের জবাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তাইওয়ান একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনে লড়াই হবে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা জেরবার। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালিবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের উপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সদ্য আফগানিস্তানে ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চিনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেজিং।