কোচবিহার,নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মারন করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র পথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের প্রথম দিন থেকে মাস্ক পড়ার কথা বলা হলেও এখনও উদাসীন সমাজের একাংশ। মাস্ক না পড়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থাও নিয়েছে পুলিশ। লকডাউন শেষ করে আনলক শুরু হবার পর থেকেই রাস্তায় মানুষের হুড়োহুড়ি। সামাজিক দুরত্ব শিকেয়, অনেকের মুখে নেই মাস্ক। বাস, প্রাইভেট গাড়ি, বাইক বা পথচলতি মানুষের মুখে মাঝে মধ্যেই দেখা মিলছে না মাস্কের।
মাস্ক ছাড়া মানুষের বিপদ আরও বাড়াবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মুখে মাস্ক পড়িয়ে দিল কোচবিহার জেলা পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে কোচবিহার পুলিশ লাইন চৌপথিতে সাধারণ মানুষদের মুখে মাস্ক পড়িয়ে দেন খোদ কোচবিহারের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর।
এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান ও অতিরিক্ত জেলা জেলাশাসক।
এবিষয়ে কোচবিহার জেলার ডিএসপি (ট্রাফিক) চন্দন দাস জানান, কোচবিহার পুলিশের তরফে আজ মাস্ক দেওয়া হল, সাধারণ মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকেন। করোনা ভাইরাসকে হারাতে গেলে সামান্য এই সুরক্ষা বিধি মেনে চলতেই হবে’।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলাজুড়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে করোনা সংক্রমণের হদিস মিলছে। তবুও যেন সচেতন হচ্ছে না মানুষ। যদিও করোনা রুখতে সামজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যাবহারের কথা প্রথম থেকে বলা হচ্ছে তবুও যেন সচেতন হচ্ছে না মানুষ। তাই এবারে সচেতন করতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পথে নামলেন। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। সেই মাস্কের উপরেও ‘মুখ ঢাকুন, দূরে থাকুন’লেখা রয়েছে।