সরাতে হবে মথুরার শাহি ইদগাহ, এবার এই মর্মে আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান কিন্তু পিটিশন গ্রহণ করল না মথুরার দায়রা আদালত।কৃষ্ণের মূর্তি এবং জন্মস্থানের প্রতিনিধি হিসেবে পিটিশন দায়ের করেছিলেন লখনউয়ের আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি। অন্য পিটিশনাররা হলেন ভক্ত প্রবেশ কুমার, রাজেশ মণি ত্রিপাঠি, করুণেশ কুমার শুক্লা, শিবাজি সিং, ত্রিপুরারি তিওয়ারি।মামলায় উক্ত শাহি ইদগাহটি মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের খুব কাছেই অবস্থিত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলাটি করা হয়েছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহি ইদগাহ ট্রাস্টের পরিচালন সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে। মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি পুনরুদ্ধাদের দাবি জানিয়ে এই মামলাটি করা হয়েছিল ।আদালত জানিয়েছে ১৯৯১ এর ধর্মস্থান আইন অনুযায়ী সমস্ত ধর্মস্থানের স্থিতি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট যেমন ছিল ঠিক তেমন রাখতে হবে।
পিটিশন দায়েরকারীদের মতে শ্রীকৃষ্ণের ওই জন্মভূমি কাটরা কেশব দেব নাম পরিচিত। ১৩.৩৭ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে মন্দির। ওই জমির মধ্যেই রয়েছে মসজিদটিও। পিটিশনে বলা হয়েছিল, ওই চত্বরের প্রত্যেক ইঞ্চি জমি ‘হিন্দু এবং কৃষ্ণভক্তদের কাছে পবিত্র’। তাই সেখানে ‘বেআইনিভাবে’ তৈরি হওয়া ইমারত সরানো হোক। অভিযুক্ত ‘ট্রাস্ট শাহি মসজিদ ইদগাহ্র ম্যানেজমেন্ট কমিটি সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ওয়াকফের সম্মতিতে’ ওই মসজিদ তৈরি করেছিল।পিটিশনে এও বলা হয়েছিল, ১৯৬৮ সালে মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সঙ্ঘ এবং মন্দির ট্রাস্টের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, তা ‘বেআইনি’। ওই জমি আসলে শ্রীকৃষ্ম জন্মভূমি ট্রাস্টের। তাদের হয়ে সমঝোতা করার অধিকার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সঙ্ঘের নেই। ওই ‘সমঝোতা’র ভিত্তিতেই মন্দির এবং মসজিদ ট্রাস্ট তাদের সীমানা নতুন করে স্থির করে নেয়।
ইতিহাস বলছে, অর্চার রাজা বীর সিং দেব বুন্দেলা মথুরার ওই স্থানে কৃষ্ণের মন্দির তৈরি বা সংস্কার করেন ১৬১৮ সালে। আবেদনে বলা হয়েছে, ১৬৬৯–৭০ সালে কট্টরপন্থী আওরঙ্গজেব বেশিরভাগ হিন্দু ধর্মস্থান ভাঙার নির্দেশ দেন। তখন সম্রাটের সেনা ওই মন্দির আংশিক ভাঙতে সমর্থ হয়। নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য জোর করে ওই ইদগাহ্ মসজিদ তৈরি করে। ১৬৭০ সালে সরকারি বুলেটিন ‘আকবরাৎ’–এও সেই কথা উল্লেখ করা রয়েছে। পরে আতিহাসিক যদুনাথ সরকার পারসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ইটালিয়ান পর্যটক নিকোলা মানুচ্চিও নিজের বই ‘স্টোরিয়া ডো মোগর’–এ এই মন্দির ভাঙার উল্লেখ করেছেন। এই তথ্য উল্লেখ করা ছিল পিটিশনে।যদিও বুধবার সেই আবেদন খারিজ করল মথুরা সিভিল কোর্ট কিন্তু মথুরা নিয়ে নতুনকরে বিবাদের সম্ভাবনার কালো মেঘ ফের দেখাদিল রাজনীতির আকাশে।
কিন্তু পিটিশন গ্রহণ করল না মথুরার দায়রা আদালত।কৃষ্ণের মূর্তি এবং জন্মস্থানের প্রতিনিধি হিসেবে পিটিশন দায়ের করেছিলেন লখনউয়ের আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি। অন্য পিটিশনাররা হলেন ভক্ত প্রবেশ কুমার, রাজেশ মণি ত্রিপাঠি, করুণেশ কুমার শুক্লা, শিবাজি সিং, ত্রিপুরারি তিওয়ারি।মামলায় উক্ত শাহি ইদগাহটি মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের খুব কাছেই অবস্থিত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলাটি করা হয়েছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহি ইদগাহ ট্রাস্টের পরিচালন সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে। মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি পুনরুদ্ধাদের দাবি জানিয়ে এই মামলাটি করা হয়েছিল ।আদালত জানিয়েছে ১৯৯১ এর ধর্মস্থান আইন অনুযায়ী সমস্ত ধর্মস্থানের স্থিতি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট যেমন ছিল ঠিক তেমন রাখতে হবে।
পিটিশন দায়েরকারীদের মতে শ্রীকৃষ্ণের ওই জন্মভূমি কাটরা কেশব দেব নাম পরিচিত। ১৩.৩৭ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে মন্দির। ওই জমির মধ্যেই রয়েছে মসজিদটিও। পিটিশনে বলা হয়েছিল, ওই চত্বরের প্রত্যেক ইঞ্চি জমি ‘হিন্দু এবং কৃষ্ণভক্তদের কাছে পবিত্র’। তাই সেখানে ‘বেআইনিভাবে’ তৈরি হওয়া ইমারত সরানো হোক। অভিযুক্ত ‘ট্রাস্ট শাহি মসজিদ ইদগাহ্র ম্যানেজমেন্ট কমিটি সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ওয়াকফের সম্মতিতে’ ওই মসজিদ তৈরি করেছিল।পিটিশনে এও বলা হয়েছিল, ১৯৬৮ সালে মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সঙ্ঘ এবং মন্দির ট্রাস্টের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, তা ‘বেআইনি’। ওই জমি আসলে শ্রীকৃষ্ম জন্মভূমি ট্রাস্টের। তাদের হয়ে সমঝোতা করার অধিকার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সঙ্ঘের নেই। ওই ‘সমঝোতা’র ভিত্তিতেই মন্দির এবং মসজিদ ট্রাস্ট তাদের সীমানা নতুন করে স্থির করে নেয়।
ইতিহাস বলছে, অর্চার রাজা বীর সিং দেব বুন্দেলা মথুরার ওই স্থানে কৃষ্ণের মন্দির তৈরি বা সংস্কার করেন ১৬১৮ সালে। আবেদনে বলা হয়েছে, ১৬৬৯–৭০ সালে কট্টরপন্থী আওরঙ্গজেব বেশিরভাগ হিন্দু ধর্মস্থান ভাঙার নির্দেশ দেন। তখন সম্রাটের সেনা ওই মন্দির আংশিক ভাঙতে সমর্থ হয়। নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য জোর করে ওই ইদগাহ্ মসজিদ তৈরি করে। ১৬৭০ সালে সরকারি বুলেটিন ‘আকবরাৎ’–এও সেই কথা উল্লেখ করা রয়েছে। পরে আতিহাসিক যদুনাথ সরকার পারসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ইটালিয়ান পর্যটক নিকোলা মানুচ্চিও নিজের বই ‘স্টোরিয়া ডো মোগর’–এ এই মন্দির ভাঙার উল্লেখ করেছেন। এই তথ্য উল্লেখ করা ছিল পিটিশনে।যদিও বুধবার সেই আবেদন খারিজ করল মথুরা সিভিল কোর্ট কিন্তু মথুরা নিয়ে নতুনকরে বিবাদের সম্ভাবনার কালো মেঘ ফের দেখাদিল রাজনীতির আকাশে।