বাচ্চাদের সবসময় চোখে চোখে রাখা উচিত। বাচ্চাদের একটু অসাবধাণতা ভাবে রাখলেই একটু চোখের আড়াল করলেই অঘটন ঘটে যায়। বাচ্চারা খেলতে খেলতে অঘটন ঘটিয়ে ফেলে। এই রকমের একটি ঘটনা ঘটলো হরিপুর থানার বুলবুলচন্ডি কেন্দুয়া এলাকায়। ওই এলাকার সঞ্জিত সরকার এর বাড়িতে। তিনি পেশায় স্কুল টিচার। তার তিন বছরের ছেলে হঠাৎ খেলতে খেলতে খেয়ে ফেলে রিমোট এর পেন্সিল ব্যাটারি।
বাচ্চাটির নাম আর্নিক সরকার। বাচ্চাটি টিভির রিমোট এর ব্যাটারি নিয়ে খেলতে খেলতে ব্যাটারি পেটের ভেতরে ঢুকে যায় এবং তারপর শুরু হয় পেতে অসহ্য ব্যাথা। সেই বাচ্চাটির পেটের ভেতর থেকে অপারেশন করে রিমোর্ট এর ব্যাটারি বের করলেন ডাক্তার পার্থপ্রতিম মন্ডল।
অপরেশন করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। ডাক্তার পার্থপ্রতিম মন্ডল প্রথমে বাচ্চাটির পেটের এক্সরে করে এক্সরে তে রিমোর্ট এর ব্যাটারি ছবি উঠলে অপরেশন এর সিদ্ধান্ত নেন। এটা তার এক বিরাট সাফল্য। তিনি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সার্জারি বিভাগের ডাক্তার।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত ও ডাক্তার পার্থপ্রতিম মন্ডল এর চেষ্টায় বাচ্চাটি এখন সুস্থ আছে। যদিও বাচ্চাটিকে প্রথমে বুলবুলচন্ডি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি জটিল দেখে বাচ্চাটিকে রেফার করা হয়েছিল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই ডাক্তার পার্থপ্রতিম মন্ডল অপরেশন করে পেটের ভেতর থেকে রিমোট এর ব্যাটারি বের করে সুস্থ করে তুললেন তিন বছরের বাচ্চাটিকে।