দেশের স্বার্থে নিজের আত্মবলিদান দিলেন বছর ২৩ এর সেনাজওয়ান। সেনা বাহিনীতে প্রবেশ করেই দেশের জন্যে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করছিলেন সেই বীর জওয়ান ‘ভূপেন্দ্র সিং’। নৌগাম ও পুঞ্চ এলাকায় পাকিস্তানের তরফে ফায়ারিং-এ শহিদ হয়েছেন বীর সেনা ভূপেন্দ্র সিং।
পাক সেনাদের কাপুরুষের মতো গোলা-গুলি বর্ষণে প্রাণ হারাচ্ছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। তবে ভারতীয় সেনার তরফেও বারবার তাঁদের হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।সীমান্তে ভারতীয় সেনারাও প্রস্তুত পাকিস্তানের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে।তবে ২৩বছরের সেনার মৃত্যুর পরেই শোকের ছায়া নেমে আসে শহীদ সেনার গ্রামজুড়ে।
পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছে প্রতিটি সদস্য। তবে ভূপেন্দ্রর স্ত্রী, ভাই ও বাবা গর্বিতও তারা জানান,দেশের জন্য আত্নবলিদান দেওয়ার সুযোগ সবার হয় না। ভূপেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকের মধ্যেও পরিজনরা নিজেদের গর্বিত বোধ বলেও মনে করছেন। শেষযাত্রায় ভূপেন্দ্রকে স্যালুট এবং হাতজোর করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন গ্রামবাসীরা। বীর শহিদের সম্মানে রাজকীয় সেনা সম্মানে তাঁর অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
শহীদ জওয়ানের বাবা জানান, ১৮ মাস আগে তার ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।সাত মাস পরেই পুত্র সন্তান জন্ম দেন ভূপেন্দ্রর স্ত্রী। তবে সেনা জওয়ানের শহীদ এর পরে পৃত্তি স্নেহ ও ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হতে হল ছোট্ট ছেলেকে। স্ত্রীর সঙ্গেও কটা দিনই কাটাতে পারলেন ভূপেন্দ্র! ভূপেন্দ্র এর ছোট ভাই একজন কলেজের ছাত্র।
দাদার শহীদের পরেই তিনিও সেনায় যোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন এবং আরও বলেছেন, দাদার মৃত্যু তাঁর জেদ বাড়িয়ে দিয়েছে।২০১৫ সালে সেনায় যোগদানের পরেই ৫ বছর দেশ রক্ষার কাজে নিযুক্ত থেকে দেশ রক্ষায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করলেন ভূপেন্দ্র যা একজন দেশবাসীর কাছে গর্বের হলেও একটি দুঃখজনক বিষয়ও বটে।