প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী হিসেবে জিল আমেরিকার সবচেয়ে সন্মানীয় ব্যক্তি। জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন আর কিছুদিন পরই হোয়াট হাউস এ পা রাখতে চলেছেন। সম্প্রীতি একটি টুইট বার্তায় জিল বাইডেন বললেন , ‘ শিক্ষাকতা শুধু আমার পেশা নয় এটাই আমার পরিচয় ‘। আমেরিকার ফাস্ট লেডি গবেষক জেলিসন ক্যাথিরিন মনে করেন , ” এই একটি সিদ্ধান্ত একবিংশ শতকের প্রথম নারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নিলেন জিল বাইডেন “।
প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী হওয়ার সন্মানকে অনেক বড় করে দেখেছিল আগের সব ফাস্ট লেডি। কিন্তু জিল বাইডেন অন্য রকমের কথা বললেন তার টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো অনেকেই অনেক মন্তব্য করেন। অনেকেই মনে করেন আমেরিকায় যে নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার ঝড় উঠেছে তাতে এমনটাই হওয়ার ছিল।
জিল বাইডেন ২০০৭ সালে ডেলাওয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্য ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। আর তিনি প্রথম প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী যিনি হোয়াট হাউস এর দায়িত্ব পালন এর সাথে সাথে নিজের কর্মজীবন চালিয়ে নিয়ে যেতে চান। এর আগে তার মতো এইভাবে কেউ চান নি।
তিনি জানালেন এখনও তার বাড়ির নেমপ্লেট এ তার এই পরিচয়ই থাকবে। তিনি বললেন তিনি জো বাইডেন এর জয় এ ভীষণ খুশি। তিনি বললেন ফাস্ট লেডি হিসেবে যতোটা মানুষকে সাহায্য করা যায় তিনি ততটাই করবেন। নারীর পরিচয় যে স্বতন্ত্র হবে সে বার্তা দিলেন তিনি। তিনি বললেন তিনি শিক্ষকতার সাথে সাথে বরাবর এর মতো সামাজিক কাজ গুলোর সাথে যুক্ত থাকবেন। তাকে নানা সামাজিক আন্দোলন এ দেখা গিয়েছিল কখনো শিক্ষার দাবিতে , সেনাবাহিনীর স্বাধীনতার চেয়ে আবার কখনো ক্যান্সার সচেতনতায়।