দলত্যাগীদের দলে ফিরিয়ে না নেওয়ার কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হুগলীর পুরশড়ার সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল ত্যাগীদের একহাত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিজেপির ‘ঝড়ে’ কার্যত বেসামাল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন ‘ফুল’ বদলের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী -সুনীল মন্ডল সহ একঝাঁক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে একের পর এক তৃণমূল কর্মী যোগ দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরে।
সূত্রের খবর, ৩0 তারিখ হাওড়ায় অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-বৈশালী ডালমিয়া সহ একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। আর ঠিক তারই আগে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-কর্মীদের কার্যত ‘সমঝে’ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২১ শে বাংলা জুড়ে বিজেপি হাওয়া বইলেও, ফের রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে আত্মবিশ্বাসী মমতা। এদিন স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন,”যারা যাচ্ছেন যান, মনে রাখবেন এরপর তৃণমূলে ফিরতে চাইলে আপনাদের আর নেব না। ইচোরে পাকাদের দলে নেওয়া হবে না।”
তবে একের পর এক দলবদলে যে তিনি আদৌ চিন্তিত নন, তাও সোমবার হুগলীর সভা থেকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন তিনি। বলেন,” মনে রাখবেন দল কাউকে রেয়াত করবে না। যারা লাইনে আছেন, তাঁরা তাড়াতাড়ি চলে যান, এরপর ট্রেন ছেড়ে দেবে। আমার কিছু যায় আসে না।”
পাশাপাশি সমস্ত ‘দলত্যাগী’দের যে আদপেই তৃণমূলে কোন গুরুত্বই ছিল না, নিজের বক্তব্যে তা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ” যারা গিয়েছেন বা যেতে চাইছেন তাঁদের তো দল আর টিকিট দিত না, তাই ওই দিকে গিয়েছে, আর একমাস পর নির্বাচন, তাই এখন গিয়ে আর কি করবেন?” এরই মধ্যে একাধিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন শুভেন্দু অধিকারী- শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো একদা মমতা ঘনিষ্ঠরা।
এবার নাম না করে পাল্টা তাঁদেরই ‘চোর’ বলে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, “টাকা রাখতে কতগুলো চোর এখন পালাচ্ছে। ওয়াশিং মেশিনে স্নান করে শুদ্ধ হচ্ছে। আসলে অনেক টাকা করেছে, এখন তা গুছিয়ে রাখতে কালো টাকা সাদা করতে বিজেপি যাচ্ছে।” পাশাপাশি এদিনও সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে আসলে ওই পচা টাকা নিয়ে নিন। আর ব্যালটে তৃণমূলকে ভোট দিন।”