নন্দীগ্রামের তেখালিতে তৃণমূলের সভায় এমনটাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। তিনি এদিন বলেন, নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে লাকি জায়গা। তবে তিনি ভবানীপুরকে অবহেলা করবেন না বলেও জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের পরে প্রথমবার নন্দীগ্রামে। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে প্রথমবারের জন্য নন্দীগ্রামে। সেই নন্দীগ্রামের সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে লাকি জায়গা। ২০১৬-র প্রার্থী তালিকা তিনি নন্দীগ্রাম থেকেই ঘোষণা করেছিলেন। এবার নন্দীগ্রাম থেকেই জেতার পালা শুরু।
নন্দীগ্রাম থেকে নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের মানুষের উদ্দেশে বলেন, তাঁরা যেন ভুল না বোঝেন। তিনি ভবানীপুরকে বড় বোন, নন্দীগ্রাম মেজো বোনের সঙ্গে তুলনা করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও আসনেই প্রার্থী ছিলেন না। নির্বাচনের পরে সুব্রত বক্সি সেই আসনটি ছেড়ে দেন। উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০১৬-র নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন দীপা দাশমুন্সি। ওই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৫, ৫২০ ভোট পেয়েছিলেন। যা মোট ভোটের ৪৭. ৬৭ শতাংশ। তবে ২০১১ সালের ভোটের থেকে তিনি কম ভোট পেয়েছিলেন ২০১৬-র নির্বাচনে। ২০১১-র উপনির্বাচনে তিনি ৭৩, ৬৩৫ ভোট পেয়েছিলেন।
তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ভবানীপুর থেকে তৃণমূল খুব সামান্য ভোটে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে তৃণমূল পেয়েছে ৬১, ১৩৭ টি ভোট। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৫৭, ৯৬৯ টি ভোট।
এদিকে নন্দীগ্রাম থেকে নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে নেই, তা এই ঘোষণা থেকেই স্পষ্ট, বলেছেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই ঘোষণার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হার স্বীকার করে নিলে বলে মন্তব্য করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।