উত্তরবঙ্গ সফরের আজ, বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লক থেকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি থেকে এই প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের আওতায় গোটা রাজ্যে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা সারাই করা হবে।।
আজ, ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। এই প্রকল্পের মূল কাজ হল ১২ হাজারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা পুনর্গঠন করা। যা আসলে হবে বাংলার গ্রাম সড়ক যোজনার অন্তর্গত। এছাড়া জেলা পরিষদ-সহ অনেক রাস্তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তার সব কিছুই এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হবে।
প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “শুক্রবার মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে সামনে রেখে তাঁর পদতলেই এই কাজ সমর্পণ করলাম। ইংরেজ আমল থেকে বাম আমল ছাড়িয়ে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ে রাজ্যে মাত্র ৯২ হাজার ২৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। অথচ মাত্র ৮ বছরে আমরা ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৩০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করেছি। কোভিড পরিস্থিতির জন্য এই বছর এখনও কাজ শুরু করতে পারিনি। কিন্তু তাও রাস্তার কাজে বাংলা ১ নম্বরে রয়েছে। এখানে পরিকাঠামো বৃদ্ধির হার ২৪৪ শতাংশ।”
এর পাশাপাশি পাহাড় ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে এদিন মঞ্জুর করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডকে ৩ কোটি টাকা, তরাই ডুয়ার্স ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ড অনুদান হিসেবে ১০ কোটি টাকাএবং আদিবাসী ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
মমতা ব্যানার্জী জানান এ পর্যন্ত পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএ ১৫০ কোটি টাকা পেয়েছে, এদিন আরও ২৫ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানান তিনি।