করোনা অবহে মানুষ যেন এবার কেনো অনুষ্ঠানেই মন খুলে আনন্দ করতে পারছেন না। এবছর প্রতিটি অনুষ্ঠান অনারম্ভর ভাবে চলে যাচ্ছে। বাঙালি এবছর ঘর বন্দি। আজ মনসা পুজো তবে এবছর যেন মনসা পুজোও কেনো জাকজমকপূণ ভাবে হলোনা। জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের মনসা পুজো এবার ৫১১ বছরের। জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ীর এই পুজো ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে শুরু হয়েছিল।এবছর রাজ বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গনে নিয়ম নিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মনসা পুজো সম্পূর্ণ হলপ্রতি বছর রাজপরিবারের এই মনসা পুজোতে প্রচুর লোকের ভিড় জমে। কিন্তু এবছর পুজোতে তেমন ভিড় হল না। তবে পুজো করোনা বিধিনিষেধ সব মেনেই সম্পূর্ণ হল।
রাজ্যের বহু দিনের পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী এই পুজো।রাজবাড়ীর এই পুজোয় মনসা দেবী পূজিত হয় আটটি বিশেষ রূপে। এছাড়া বাসুকি , পদ্মা , অনন্ত নাগ , মহাপদ্মা , কুলির , ইস্টনাগ সহ দশ রকমের প্রতিমার পুজো হয়। এছাড়াও মন্দির প্রাঙ্গনে বেহুলা , গদা , লক্ষীন্দর ও গদানির পুজো হয়। প্রতি বছর এই পুজো উপলক্ষে ওই রাজবাড়ী প্রাঙ্গনে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। টানা ছয় দিন ধরে এই পুজো চলে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে সেখানে চলে মনসা মঙ্গল পালাগান। তবে এবছর করোনা অবহে মনসা মঙ্গল পালাগানে তেমন কেনো আরম্ভর নেই শুধু মাত্র নিয়ম মেনেই পালাগান হবে। তবে এই বছর এই মেলার আয়োজন করা হয়নি।
করোনা পরিস্থিতির জন্য এই বছর কেনো মেলা হচ্ছে না।প্রতি বছরই এই মনসা পুজোকে ঘিরে দারুন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সমাজের। রাজপরিবারের পুজো তাই এই পুজো কে কেন্দ্র করে মানুষের কৌতূহল একটু বেশি। রাজপরিবারের এই মনসা পুজোতে অংশ নিতে আসেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নেপাল , ভুটান , অসম ও বিহার থেকেও ভক্তরা আসেন।