বাংলা যখন মহামায়া দূর্গা বন্দনায় ব্যস্ত,ভারতের বাকী প্রান্তে যখন চলছে দশেরাতে রাবন দহনের প্রস্তুতি তখন ভারতের বিভিন্ন মন্দিরেই চলছে দশাননের পুজোর আয়োজন। রাবণ ছিলেন বিরাট পণ্ডিত, তিনি সব ইচ্ছা পূরণ করেন। এই বাসনা নিয়ে পূণ্যার্থীরা জড়ো হন দশানন মন্দিরে।
উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার কাছাকাছি বিসরাখ গ্রামে রাবণের জন্ম হয় বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। গ্রামবাসী দের বিশ্বাস এই গ্রামের নামকরণ রাবণের পিতা বিশ্বশ্রবা-র নাম অনুসারে হয়েছে তাই এই গ্রামে নবরাত্রির পর রাবণের কাঠামো না পুড়িয়ে তাঁর পুজো করা হয়।
লখনউয়ের কাছে কানপুরের দশানন মন্দির প্রাচীন। মনে করা হয়, গুরু প্রসাদ শুক্ল ১৮৯০ নাগাদ প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দিরের। কেবল দশেরার দিন প্রতিবছর খোলা হয় এই মন্দিরটি। স্থানীয়দের বক্তব্য, দশেরা বা দশহারা তিথিতে জন্মেছিলেন রাবণ। তাঁর মৃত্যুও হয়েছিল একই দিনে। তাই প্রতি বছর দশেরার দিন ওই মন্দিরে রাবণের পূজো হয়।রাবণ ভক্তদের বেশিরভাগই ছত্রি আর ঠাকুর সম্প্রদায়ের।এই দিনে রাবণকে সাজানো হয় রঙিন ফুল দিয়ে, হয় আরতি। ভক্তরা এসে জ্বালান প্রদীপ। রাবণমূর্তির সামনে চলে মন্ত্রপাঠ। তারপর রাবণের কুশপুতুল পুড়িয়ে বছরের মতো বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের দরজা।
মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌর lঅঞ্চল রাবণের স্ত্রী মন্দোদরি দেবীর জন্মস্থল বলে পরিচিত। তাঁর নামেই এই এলাকাও নামাঙ্কিত। দশ মাথা বিশিষ্ট রাবণ এখানে জামাই হিসেবে পূজিত। কারণ এই স্থানেই নাকি রাবণ মন্দোদরিকে বিবাহ করেছিলেন বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস।মন্দোদরি দেবী নাকি রাবণকে বিবাহ করার আগে মধ্যপ্রদেশের বিদিশার অন্তর্গত রাবন গ্রামে কিছুদিন ছিলেন। মন্দোদরি এই এলাকায় কন্যা হিসেবে পূজিত। তাঁর সঙ্গে পূজিত হন রাবণও।
রাজস্থানের যোধপুরের মৌদগিল ব্রাহ্মণরা মনে করেন যে রাবণ তাঁদের পূর্বপুরুষ। তাই এখানে মন্দির স্থাপন করে রাবণকে পুজো করা হয়ে থাকে।হিমাচল প্রদেশের বাইজনাথ এলাকার রাবণকে শিবের উপাসক হিসেবে পুজো করা হয়ে থাকে।