Dainik Khabor :- ভারতের লাদাখের গালওয়ানে রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে, চীন এবং ভারতের মধ্যে খন্ডযুদ্ধের সৃষ্টি হয়। এর মূল কারণ হলো ভারত যদি গাল মান পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে, তারা পুরোপুরি চীনের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে। এর জন্যই ভারতকে আটকানোর জন্য চীন লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করে, মনকে কিছুটা ভারতের অংশ চীনা সেনারা প্রবেশ করে। প্রথমে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ভারতীয় এবং চচীনা সেনাদের মধ্যে এক হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। শুরু হয়ে খনযুদ্ধ তাতে ভারতীয় কুড়ি জন সেনা জওয়ান শহীদ হন।
চীনের চীনের এই মনোভাবের জন্য ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্দোনেশিয়া মতো দেশগুলো। অস্ট্রেলিয়া ভারতকে সেনা দিয়ে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এইদিকে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে সেনা কমিয়ে এনে এশিয়ার দেশগুলোতে সেনা বাড়ানো শুরু করেছে,। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন যে চীনের এই মনোভাব কে আটকানোর জন্য আমরা ২৭০০০এর মত সেনা নিয়োগ করব।
তবে রাজনৈতিক মহলে একটি প্রশ্ন ছিল যে রাশিয়া কার সঙ্গ দিবে? কেননা ভারত যদি রাশিয়ার পুরনো বন্ধু হয় তবে চীন তাদের মিত্র। যদি এর মধ্যে রাশিয়া চীন এবং ভারতের পরিস্থিতি কে সামাল দেওয়ার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল, কিন্তু চীন এবং ভারত তাদের এই সমস্যার মধ্যে কোন প্রদেশের হস্তক্ষেপ নিতে রাজি না হয় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৭৫তম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে তিন দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ২২থেকে ২৪ শে জুন ছিলেন মস্কোতে, এবং সেই সময়ে তিনি বৈঠক করেন রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীর ইউ বি বরি সভের সঙ্গে। এরপর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিরে এসে জানান যে সেখানে আলোচনা সফল হয়েছে। S-৪০ ট্রায়ামফ দূর-পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখিত যে 2018 সালে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনের সময় ভারত ও রাশিয়া ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেই ক্ষেপণাস্ত্র টি নিয়েকথা হয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে।
ভারত এবং রাশিয়ার এই আলোচনার পরে কূটনীতিক মহল মনে করছে যে চীন ভারতের যদি কোন সময় যুদ্ধ ঘটে তবে রাশিয়া অবশ্যই ভারতের সঙ্গে সংঘ দিবেন। তবে অনেকেই মনে করছেন যে সত্যি কি রাশিয়া ভারতের পাশে? নাকি শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে ভারতকে?