দৈনিক খবর, নিজস্ব প্রতিনিধি:- ইচ্ছাপুরের ১৮ বছরের তরুণ শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর পর, গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট মৃত তরুণের দেহকে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল।মৃত্যুর আসল কারন জানতেই এই পোস্টমর্টেম এর নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
ছেলের মৃত্যু নিয়ে এর আগে তরুণের মা বাবা বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরে সরকারি পরিষেবা এবং এক হাসপাতাল থেকে আরও এক হাসপাতালের চক্কর কাটতে থাকায় ছেলের চিকিৎসা হয়ে ওঠেনি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়েই ছেলের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তার বাবা ও মায়ের। ছেলের মৃত্যুর কারন হিসাবে তারা মূলত রাজ্য সরকারের সাস্থ্য ব্যবস্থাকেই দুষেছেন। এমন কি একাধিক বার নানান সংবাদ মাধ্যমে মৃত তরুণের বাবা ও মা ছেলের মৃত্যুর কারন করোনা নয় বলেও দাবি করেন এমন কি সঠিক কোনো রিপোর্ট তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগও করেন।
তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তার বাবা ও মা হাসপাতালের চক্কর কাটতে থাকেন এবং পরবর্তীতে এক মাত্র ছেলেকে হারানোর কষ্টকে টিভির পর্দায় দেখে অনেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠতে থাকে বিরোধী রাজনীতি এমনকি সাধারণ মানুষের অনেকেই এই ঘটনাটি দেখে আন্দোলিত হয়ে ওঠে।
এখনো শুভ্রজিতের দেহ রয়েছে মেডিকেল কলেজের মর্গে।শুক্রবার দিন মৃত্যু হবার পর বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, শুভ্রজিৎ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছে তাই করোনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার সৎকার করা হবে না।মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয় পোস্টমর্টেম হবার পর আইসি এমআর এর কোভিড ১৯এর নিয়ম অনুসারেই শুভ্রজিতের শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করা হবে।