ছেলের পড়ার বই উল্টেপাল্টে দেখে চন্দন বাবু বাড়িতেই তৈরী করে ফেললেন তেল। ছেলের বিজ্ঞান বই প্লাস্টিক থেকে কিভাবে পেট্রল জাতীয় উপাদান তৈরী হয় সেই দেখেই ছেলের সাথে আলোচনা করে তৈরী করে ফেললেন কাঙ্খিত যন্ত্র। বাড়ির উঠোনে চন্দন বাবু তেল উৎপদনকেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছেন। আর তাতে তিনি নাকি পেট্রল ও রান্নার গ্যাস বানাচ্ছেন।
চন্দন বাবু বললেন তিনি তার তৈরী পেট্রল দিয়ে প্রতিবেশীর বাইক চালিয়েছেন আর তাতে কোনো সমস্যা হয় নি। চন্দন বাবু পেশায় কাঠ মিশ্রি। পরিবারের অভাব লেগেই আছে। অভাবের জন্য ছোট বেলায় ক্লাস ৮ এই শেষ। তার ছেলে ক্লাস ৭ এ পরে। আর এখন করোনা জেরে স্কুল বন্ধ। আর ছেলের বই গুলো মাঝে মধ্যেই চন্দন বাবু উল্টেপাল্টে দেখেন। আর সেই ক্ষেত্রেই তার এই আবিষ্কার।
উত্তরবঙ্গের বিজ্ঞানকেন্দ্রর এডুকেশন অফিসার বিশ্বজিৎ কুন্ডু বলেন , ছেলের বিজ্ঞান বই দেখে এইভাবে একজন এর বিজ্ঞান চৰ্চায় উৎসহিত হওয়া বিজ্ঞানকর্মী হিসেবে আমি ভীষণ আনন্দিত। এই পদ্ধতিতে প্লাস্টিক গলিয়ে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন সম্ভব। তবে চন্দন বাবুর আবিষ্কার কতটা সার্থক সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। সবকিছু খতিয়ে দেখে যদি চন্দন বাবুর সাহায্য প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে তিনি সাহায্য করবেন। বিজ্ঞান বইয়ে আছে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যে কোনো প্লাস্টিক গরম করলে যে তরল পদার্থ বের হবে তার থেকে পেট্রল, ডিজেল মিলবে। প্লাস্টিক পুড়িয়ে যে গ্যাস বের হয় তাকে ফিল্টার করে তৈরী হয় এলপিজি গ্যাস। চন্দন বাবু বলেন আমাদের চারপাশে নানা প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক এর তৈরী নানা জিনিস যেমন বোতল , ক্যারিব্যাগ পরে থাকে। আর তিনি সেই গুলো সংগ্রহ করে পুড়িয়ে তিনি পেট্রল ও গ্যাস তৈরী করছেন।