কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তুফানগঞ্জের বুকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।ঘটনায় রীতিমতো প্রশাসনের আধিকারিকদের চিন্তার মুখে পরতে দেখা যায়।
বিজেপির লোকাল পার্টি অফিসের সামনে থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এইদিন তুফানগঞ্জ শহরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার সকালে তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের চিলাখানা বাজার চত্বরে। খবর সূত্রে জানা যায়,রোজকার মতই আজ শুক্রবারদিন সকালেও এক বিজেপি কর্মী কার্যালয় খুলতে আসে।এর পরেই দরজার সামনে আসতেই সেই ব্যক্তিটি বোমা দেখতে পায় এবং রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যায় ব্যক্তিটি । এরপরেই ব্যক্তিটি ভয়ে ঘটনার খবর দিতে বিজেপি কর্মীদের ডাক দেন, এর পরেই সেখানে বিজেপির কর্মীরা আসতেই তারা সাথে সাথেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশকে সমস্ত ঘটনাটি বলেন। এর পরেই পুলিশ সেখানে আসে এবং প্রাথমিক অবস্থায় বোমাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মার্মান্তিক! মদ না পেয়ে ‘স্যানিটাইজার’ খেয়ে ৯জনের মৃত্যু
ঘটনায় নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি সহ সংযোজক চিরঞ্জিত দাস জানান, এগুলি তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ব্যাপক বার বাড়ন্ত বেড়েছে,তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একটি অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করার স্বার্থেই এইদিন বিজেপি কার্যালয়ের সামনে একটি তাজা বোমা রেখে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়, এমটাই অভিযোগ হানা হয়েছে। ঘটনায় স্থানীয় এক তৃনমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতার সমস্ত অভিযোগকে পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করে বলেন, সারা রাজ্যের বর্তমানে বিজেপির দুটি গোষ্ঠী একটি মুকুল রায় দ্বারা পরিচালিত ও ওপরটি দিলীপ ঘোষ পরিচালিত এদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাঁদের মধ্যেই কে না কেউ এলাকায় সন্ত্রাস বা দলীয় কার্যালয়ের মজুত করার জন্য এনেছে এবং এর পরেই পরিকল্পিত ভাবে সমস্ত দোষ তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।