ভারত-চিন সহ একাধিক দেশের সাথে চিনের সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ হয়েছে, তারই মধ্যে বর্তমানে চিনের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। কারন হিসাবে বলা যেতে পারে বিশ্বজুড়ে চিনের দাদাগিরি, করোনা পরিস্থিতি, ভারতের সাথে চিনের জমি সংক্রান্ত আতাত ইত্যাদি।এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনকে করোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে চিনকে একহাতে নিয়ে নানান ভাবে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন।তাই এবারেও চিনের ওপরে চাপ বাড়াতে চলেছে আমেরিকা।বেশকয়েকদিন আগেই ট্রাম্প তাইওয়ানে জান এমনকি ট্রাম্পের সাথে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ সময়ের আলোচনাও হয়।সেই থেকেই আমেরিকা ও তাইওয়ানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পায় এবংআমেরিকার থেকে প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান, বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আমেরিকার কাছ থেকে এফ-১৬যুদ্ধ বিমান কিনতে চলেছে তাইওয়ান।ছয় হাজার ২০০কোটি ডলারের এই চুক্তি বিগত কয়েক বছরের মধ্যে তাইওয়ান এবং আমেরিকার মধ্যে এটি একটি সবথেকে বড়ো অস্ত্রচুক্তি বলা যেতে পারে।স্বাভাবিক ভাবেই আমেরিকা ও তাইওয়ানের এইরূপ সম্পর্কের দৃশ্য সামনে আসতেই চিন বিশাল ভাবে চাপে পরেছে সেটাই স্বাভাবিক।
বিশ্বের বেশকিছু শক্তিশালী যুদ্ধবিমান গুলোর মধ্যে এফ-১৬ রয়েছে। জানা গিয়েছে,আমেরিকার ও তাইওয়ানের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ৯০টি অত্যাধুনিক এফ-১৬এর কথা হয়েছে এমনকি উন্নত এবং সর্বাধুনিক ভার্সন দেওয়া হবে তাইওয়ানকে।ওয়াসিংটনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, আগামী ১০বছরের মধ্যে তাইওয়ান এইসব বিমানগুলো পেয়ে যাবে।
আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় চিন,তাই চিনের তরফ থেকেও কড়া হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে।রীতিমতো যুদ্ধের হংকার দিয়ে চিন জানায়, তাইওয়ানকে এই সব অত্যাধুনিক এফ-১৬ সরবরাহ করা হলে আমেরিকার পরিণতি ভালো হবে না।কিন্তু চিনের হুমিককে পাত্তাই দেয়নি আমেরিকা।এর আগেও গত বছরেই আমেরিকা তাইওয়ানকে ৬৬টি এফ ১৬বিমান দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় এবং সেই সময়তেও চিন আমেরিকাকে তাইওয়ানের হাতে সেই সব বিমানগুলো দিতে বারণ করেছিল, কিন্তু এবারে চিনকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়েই সেই পথেই হাঁটতে চলেছে আমেরিকা।