মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা: রিঙ্কু সরকার নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এইদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায় মালদার মানিকচক এলাকায়।এইদিন রহস্যজনক ভাবে মহিলার মৃত্যুতে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়,ঘটনায় পুলিশও রীতিমতো খুন না আত্মহত্যার ঘটনা সেটা নিয়ে ধন্দে পরেছে।জানা গিয়েছে মৃত মহিলার বাপের বাড়ি নূরপুর শ্যামলাল পাড়ায় এবং ধরমপুর চৌকির একব্যক্তি মঙ্গল সরকারের সাথে রিঙ্কু সরকারের গত একবছর আগে বিবাহ হয়।জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার সাথে তার স্বামী সহ পরিবারের লোকেদের মধ্যে মাঝে মাঝেই ঝামেলা লেগেই থাকতো।এককথায় রিঙ্কুর ওপর শশুরবাড়ির অত্যাচার চলতো।
রিঙ্কুর স্বামী বাইরের রাজ্যে কর্মরত অবস্থায় তাকে টাকা পাঠালেও সেই টাকা বাড়ির অন্যান্য পরিবারের লোকেদের জন্যে হাতে পেতো না রিঙ্কু।শশুর বাড়ির অত্যাচারের কথা বাপের বাড়িতেও জানায় সে এবং রাখি বন্ধন উৎসবে বাপেরবাড়িতে এসে রিঙ্কু জানায় তার শশুর বাড়ির লোকেরা তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।এর পরেই শনিবার রিঙ্কুর মৃত্যুর ঘটনা কানে আসতেই রিঙ্কুর বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে।তবে শশুরবাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, রিঙ্কু আত্মহত্যা করেছে, রিঙ্কুর শশুর বাড়ির লোকেরা জানায়,শনিবার সকাল থেকেই ঘরের দরজা খোলেনি রিঙ্কু। কিন্তু রিঙ্কুর বাপের বাড়ির লোকেরা কোনো ভাবেই রিঙ্কুর শশুর বাড়ির কথা মানতে নারাজ।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত, স্থিতিশীল রয়েছে শারিরীক অবস্থা
শনিবার গভীর রাতে মানিকচক থানার পুলিশ ঘরের দরজা খুলে মহিলার মৃত দেহ উদ্ধার করে।রবিবার সকালে রিঙ্কুর বাপের বাড়ির লোকেরা মানিকচক থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়।পরিবারের লোকেরা সরাসরি দাবি করেন যে, রিঙ্কুর স্বামীই তাকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে।ঘটনায় রিঙ্কুর বাপের বাড়ির তরফ থেকে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ, ঘটনার পর গৃহবধূর শশুরবাড়ির লোকজন পলাতক, মৃত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তবে ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা সেই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানান হয় নি।